এই পদ্ধতিতে লোহা,জি আই তার দিয়ে কোয়েলের জন্য বিশেষভাবে খাঁচা তৈরি করা হয়ে থাকে।তবে কেউ চাইলে বাঁশ-কাঠ দিয়েও খাঁচা বানাতে পারে।তবে লোহার খাঁচা টেকসই ও ভাল হবে।
খাঁচায় মেঝে সামনের দিকে হাল্কা ঢালু করে তৈরি করা হয় যাতে পাখি খাঁচায় ডিম পাড়লে ডিম গড়িয়ে যেন সামনে চলে আসে।
খাঁচার একপাশে লম্বা ভাবে তৈরি খাবার পাত্র ও পানির পাত্র লাগানো থাকে।
খাঁচায় কোয়েল পালনের সুবিধা
খাঁচায় কোয়েল পালন সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত আর সহজ।
কারন-
- ডিম গড়িয়ে এসে ট্রে তে জড়ো হয়।ফলে ডিম সংগ্রহ করা সহজ।
- ডিম ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
- সহজেই খাবার ও পানি দেয়া যায়।
- পায়খানা বা মল খাঁচার প্রতি তলার নিচে রাখা ট্রে তে পড়ে।ফলে মল বা পায়খানা পরিষ্কার করা অতি সহজ।
- অল্প জায়গায় একটা খাঁচায় পাঁচ তাক করে ফ্লোরের চেয়ে পাঁচ গুন বেশি পাখি পালা যায়।
- রোগ বালাই কম হয়।কারন পায়খানা নিয়মিত ট্রে থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
- খাঁচার নেটের ফাঁকা ছোট হওয়ায় ইঁদুর ঢুকতে পারে না।
- ঘন ঘন লিটার পরিস্কার করার ঝামেলা থাকে না।
- খাঁচায় পালন করলে এমোনিয়া গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
- পাখির দৈহিক চাকচিক্য বজায় থাকে।
- পাখির পালক সহজে পড়ে যায় না।
খাঁচায় কোয়েল পালনের অসুবিধা
খাঁচায় কোয়েল পালনের অসুবিধা নেই বললেই চলে।তবে খাঁচায় পালন করতে হলে কিছু বিষয় আগেই জেনে রাখা উচিত।
যেমন-
- লোহার খাঁচা তৈরি করতে বেশিমূলধন লাগে।
- আবার বাঁশের খাঁচা তৈরি করলে বেশিদিন টেকসই হয় না।
- খাঁচা তৈরির খরচ বাদে ও আবার সেই খাঁচা রাখার জন্য লিটার পদ্ধতির মত একটা সেড তৈরি করা লাগে।ফলে খরচ লাগে বেশি।
- নিয়মিত খাঁচার মলের বা পায়খানার ট্রে পরিষ্কার না করলে প্রচুর দূর্গন্ধ হয়।
কোন পদ্ধতিতে কোয়েলপালন লাভজনক???
লিটার পদ্ধতিতে কোয়েল পালনের সুবিধা ও অসুবিধা এবং খাঁচায় কোয়েল পালনের সুবিধা ও অসুবিধা জানার পরে এখন সিদ্ধান্ত আপনার।উপরোক্ত সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করেই আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী খামার করতে পারেন।
তবে লেখক হিসেবে নয়;একজন খামারী হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে পরামর্শ দিব –খাঁচায় কোয়েল পালন করতে।
যদিও মূলধন একটু বেশি লাগবে,তবুও সুবিধা অনেক বেশি পাবেন।
No comments:
Post a Comment