Tuesday, February 19, 2019

নিজেই কোয়েলের খাদ্য তৈরি করার উপায়


আমাদের হাতের নাগালে প্রাপ্ত বিভিন্ন খাদ্য উপাদান দিয়ে নিজেই কোয়েলের জন্য সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারেন।
তবে পরামর্শ হল-যদি আপনি বড় পরিসরে খামার করেন তবেই কেবল আপনি নিজে খাদ্য তৈরিকরার চিন্তা করবেন।
নিচে কোয়েলের স্টার্টার,গ্রোয়ার এবং লেয়ার খাদ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ও পরিমান দেয়া হল-
কোয়েলের স্টার্টার খাদ্য (১০০ কেজি)
গম ভাঙ্গা
৫০ কেজি
চাউলের মিহি গুড়া
০৬ কেজি
তিলের খৈল
২৩ কেজি
শুটকি মাছের গুড়া
১৮ কেজি
ঝিনুকের গুড়া / ডিসিপি
.৪ কেজি
লবন
৩০০ গ্রাম
ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স
৩০০ গ্রাম

কোয়েলের গ্রোয়ার খাদ্য (১০০ কেজি)
গম ভাঙ্গা/ভুট্টা ভাঙ্গা
৫০ কেজি
চাউলের মিহি গুড়া
০৮ কেজি
তিলের খৈল
২৩ কেজি
শুটকি মাছের গুড়া
১৫ কেজি
ঝিনুকের গুড়া / ডিসিপি
.৪ কেজি
লবন
৩০০ গ্রাম
ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স
৩০০ গ্রাম



কোয়েলের লেয়ার খাদ্য (১০০ কেজি)
গম ভাঙ্গা /ভুট্টা ভাঙ্গা
৫০ কেজি
চাউলের মিহি গুড়া
০৯ কেজি
তিলের খৈল
২৩ কেজি
শুটকি মাছের গুড়া
১২ কেজি
ঝিনুকের গুড়া / ডিসিপি
.৩ কেজি
লবন
৪০০ গ্রাম
ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স
৩০০ গ্রাম

কোয়েলের ডিম ও মাংসের উপকারিতা
পৃথিবীতে যত প্রকার খাবার উপযোগী ডিম ও মাংস আছে তার মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম ও মাংস গুনে মানেপুষ্টিতে এবং স্বাদে সর্বশ্রেষ্ঠ। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নিয়মিত মুরগীর ডিম এবং বিভিন্ন মাংস খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 
অথচ কোয়েলের ডিম এবং মাংস নিসংকোচে যে কোনো বয়সের মানুষ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা খেতে পারে। এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম ও মাংস গ্রহণ করলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ হতে পারে। বিভিন্ন দেশে কোয়েল পাখি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং সব জায়গা থেকে গবেষকরা কোয়েলের ডিম ও মাংস নিশ্চিন্তে খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন

কি আছে কোয়েলের ডিম ও মাংসে?
  • কোয়েল ডিম এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম খেলে শরীরে সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরেল যেখানে ১.%সেখানে মুরগীর ডিমে ৪%এছাড়া কুসুমে প্রোটিনের পরিমান মুরগীর থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
  • কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী। ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী। আয়রন পাঁচ গুণ বেশী। ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
    স্বাদের বিচারে ব্রয়লার মুরগীর মাংসের তুলনায় কোয়েলের মাংস বেশ মুখরোচক এবং দামের বিচারেও ১টি মুরগীর ডিমের দামে প্রায় ৪টি কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়।
    নিয়মিত সকালের খাদ্য তালিকায় ৪/৫টা কোয়েল ডিম এবং সপ্তাহে অন্তত একবার কোয়েলের মাংস খেলে যে উপকার হয়-
  • কিডনীলিভার এবং হ্রদপিন্ডের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
  • হজম শক্তি বাড়াতে এবং এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
    বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমর্ত্তার বিকাশে সহায়ক।
  • সব বয়সের লোকদের পূর্ণজ্জীবিত এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • যৌন ক্ষমতা তথা শারিরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • কোয়েলের ডিম ও মাংস ডায়বেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
  • কোয়েলের ডিম ও মাংস বেশ সস্তা।

(তথ্যসূত্রঃ এই অংশটুকু ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।)

No comments:

Post a Comment

কোয়েল পালন সম্পর্কিতপ্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ  কোয়েল কত দিনে ডিম দেয় ? উত্তরঃ  কোয়েল পাখি সাধারনত ৪৫ দিন বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে । তবে বাস্তবে প্রায় ৫৫ - ৬০ দিন সময় লেগে ...