একজন খামারিকে রোগবালাই, প্রতিকূল আবহাওয়া ইত্যাদি প্রতিনিয়ত নানা বিরূপ অবস্থার সাথে লড়াই করতে হয়। ঠিক যেন একজন চালক মূল সড়কে গাড়ি চালানোর সময় অন্যদিকে দৃষ্টি সরানোর সুযোগ থাকে না ঠিক তেমনি। আর যখন সমস্ত প্রতিকূল অবস্থা থেকে একজন খামারি সফল হয়, তখন তার অংশও কারো সাথে ভাগ করতে চাইবেন না। কারন এটা তার একার কৃতিত্ব। আর এই আনন্দ যা ভাষাই প্রকাশ করা যাবে না । আর এই সফলতার পেছনে যে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা আছে তার মধ্যে কবুতরের ধনুষ্টংকার বা Tetanus রোগ। দেশে ১-১৫ দিনের কবুতরের বাচ্চা মারা যাবার পেছনে ৭০% ভাগ এই রোগ দায়ী। এই রোগের মূল কারন Colestridium Tetani নামক জীবাণু। এটি অক্সিজেন ছাড়াও বেচে থাকতে পারে। লক্ষণ ও কারন বিশ্লেষণ করলে এই রোগকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) আঘাতজনিত ।
২) কাটা বা ক্ষতজনিত।
৩)অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জনিত।
ধনুষ্টঙ্কার একটি স্নায়ুবিক রোগ। তাই এই রোগ নির্ণয় করতে হলে এর ইতিহাস শুনতে হবে ও লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১) আঘাতজনিত ।
২) কাটা বা ক্ষতজনিত।
৩)অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জনিত।
ধনুষ্টঙ্কার একটি স্নায়ুবিক রোগ। তাই এই রোগ নির্ণয় করতে হলে এর ইতিহাস শুনতে হবে ও লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
লক্ষণ ও কারনঃ
1) সামান্য শব্দ ও হাততালি দিলে সমস্থ শরীর কেঁপে উঠে।
২) খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
৩) কবুতর ঠিকমত মাথা তুলতেপারে না, মাথা হেট করে থাকে।
৪) ঘাড় শক্ত হয়ে যায় ও ছটফট করতে করতে শরীর ও ঘাড় বেঁকে গিয়ে মারা যায়।
৫) আঘাত লেগে বা কেটে গিয়ে ক্ষতসৃষ্টি হয়ে, ভিতরে জীবাণু প্রবেশ করে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
৬) বাচ্চা ডিম থেকে ফুটার পর নাভি সংক্রমন থেকে বা স্যাঁতস্যাঁতে বাতি থেকে এই রোগ হয়।
৭) পুরানো লোহা, পেরেক ফুটে বা টিনে কেটে গিয়ে এই রোগ হতে পারে।
৮) অত্যন্ত গরমে,বা ঘাম বন্ধ হয়ে, ঠাণ্ডা লেগে এই রোগ হতে পারে।
৯) দেহ আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে অবশ হয়ে যায়।
১০) পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়।
১১)গায়ের লোম ও লেজ খাড়া হয়ে যায়।
১২) শ্বাস প্রশ্বাসে সাহায্য করে এমন পেশী শক্ত হয়ে যায়।
১৩)মাঝেমাঝে বিশেষ কিছু পেশীর অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হয়।
১৪) শিরদাঁড়া উত্তেজিত হয়েও এই রোগ হতে পারে।
১৫)অনেক সময় ঠোট বেকে যায়। শরীর ওবোশ হয়ে যায় ও দাড়াতে পাড়ে না।
১৬) রোগ অধিক হলে খিচুনির মতো অবস্থা হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারাও যেতে পারে।
২) খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
৩) কবুতর ঠিকমত মাথা তুলতেপারে না, মাথা হেট করে থাকে।
৪) ঘাড় শক্ত হয়ে যায় ও ছটফট করতে করতে শরীর ও ঘাড় বেঁকে গিয়ে মারা যায়।
৫) আঘাত লেগে বা কেটে গিয়ে ক্ষতসৃষ্টি হয়ে, ভিতরে জীবাণু প্রবেশ করে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
৬) বাচ্চা ডিম থেকে ফুটার পর নাভি সংক্রমন থেকে বা স্যাঁতস্যাঁতে বাতি থেকে এই রোগ হয়।
৭) পুরানো লোহা, পেরেক ফুটে বা টিনে কেটে গিয়ে এই রোগ হতে পারে।
৮) অত্যন্ত গরমে,বা ঘাম বন্ধ হয়ে, ঠাণ্ডা লেগে এই রোগ হতে পারে।
৯) দেহ আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে অবশ হয়ে যায়।
১০) পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়।
১১)গায়ের লোম ও লেজ খাড়া হয়ে যায়।
১২) শ্বাস প্রশ্বাসে সাহায্য করে এমন পেশী শক্ত হয়ে যায়।
১৩)মাঝেমাঝে বিশেষ কিছু পেশীর অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হয়।
১৪) শিরদাঁড়া উত্তেজিত হয়েও এই রোগ হতে পারে।
১৫)অনেক সময় ঠোট বেকে যায়। শরীর ওবোশ হয়ে যায় ও দাড়াতে পাড়ে না।
১৬) রোগ অধিক হলে খিচুনির মতো অবস্থা হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারাও যেতে পারে।
চিকিৎসা প্রতিরোধ ও অণুসাঙ্গিক ব্যবস্থাঃ
১) নীরব ও কম আলোসম্পন্ন ঘরে আক্রান্ত কবুতরকে রাখতে হবে যাতে,বাইরের কোন শব্দ না পৌছে।
২) মেরুদণ্ডের উপর এক টুকরা বরফ কাপড়ে পেঁচিয়ে হালকা করে প্রলেপ দিতে হবে।
৩) ক্ষতস্থান অ্যান্টি সেপ্টীক দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিতে হবে।
৪) তলপেটে একবার গরম ও ঠাণ্ডা শেক দিতে হবে। যাতে পায়খানা শুরু হয়।
৫) তরল খাবার দিতে হবে।
৬) চালের স্যালাইন দিতে হবে। (যদি১-৫ দিনের বাচ্চা হয় তাহলে ড্রপ দিয়ে ৪-৫ ফোটা করে খাওয়াতে হবে। আর অবশ্যই তা হালকা গরম হতে হবে।)
৭)বাচ্চা ডীম থেকে ফুটার পর অবশ্যই হেক্সীশোল বা পোভীশেফ দিয়ে ণাভী ভালো করে মূছে দিতে হবে।
৮) বাটী যাতে ভীজা না থাকে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।
৯) বাচ্চা হবারপর Tetanus বা ধনুষ্টংকার থেকে বাঁচতে হোমিও Hypericum 200 কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিক্স করে কয়েক ফোটা খাওয়াতে হবে।
২) মেরুদণ্ডের উপর এক টুকরা বরফ কাপড়ে পেঁচিয়ে হালকা করে প্রলেপ দিতে হবে।
৩) ক্ষতস্থান অ্যান্টি সেপ্টীক দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিতে হবে।
৪) তলপেটে একবার গরম ও ঠাণ্ডা শেক দিতে হবে। যাতে পায়খানা শুরু হয়।
৫) তরল খাবার দিতে হবে।
৬) চালের স্যালাইন দিতে হবে। (যদি১-৫ দিনের বাচ্চা হয় তাহলে ড্রপ দিয়ে ৪-৫ ফোটা করে খাওয়াতে হবে। আর অবশ্যই তা হালকা গরম হতে হবে।)
৭)বাচ্চা ডীম থেকে ফুটার পর অবশ্যই হেক্সীশোল বা পোভীশেফ দিয়ে ণাভী ভালো করে মূছে দিতে হবে।
৮) বাটী যাতে ভীজা না থাকে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।
৯) বাচ্চা হবারপর Tetanus বা ধনুষ্টংকার থেকে বাঁচতে হোমিও Hypericum 200 কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিক্স করে কয়েক ফোটা খাওয়াতে হবে।
মনে রাখতে হবে অনেক সময় কোন লক্ষণ ছাড়াই বাচ্চা Tetanus বা ধনুষ্টংকার এ আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। তাই সে থেকে মুক্তি পেতে হোমিও ঔষধ প্রতিরোধক হিসাবেও ব্যাবহার করা যেতে পারে। আর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটার পর থেকে যদি একটু অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া হয় তাহলে এই অনাখংকিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এটা যে শুধু বাচ্চাদের হবে তাও ঠি কনা। পূর্ণবয়স্ক কবুতরেরও ডিম পাড়ার সময় বা অন্য যেকোন সময় ও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই সকল ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
No comments:
Post a Comment