প্রথমে আমরা হিসাবের সুবিধার্থেকিছু বিষয় ধরে নিব
১) ডিম দেয়ার হার ৭০-৮০% (গড়ে ৭৫%)
২) ডিমের দাম ১.৬ – ১.৮ টাকা (গড়ে ১.৭ টাকা)
৩) লেয়ার খাবারের দাম(৫০কেজি)প্রতি বস্তা ১৬০০ টাকা
অর্থ্যাত প্রতি কেজির দাম=৩২ টাকা
৪) প্রতিটি কোয়েল খাবার খাবে ২৫ গ্রাম।
- ১০০০ কোয়েলেরমাসিক ব্যয়ঃ
১) দৈনিক খাবার= ১০০০x২৫=২৫০০০ গ্রাম=২৫ কেজি
মাসিক খাবার খরচ=২৫x৩০ কেজি=৭৫০কেজিx৩২ টাকা=২৪,০০০ টাকা
২)ওষুধ(ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,জিংক,এন্টিবায়োটিক্ও অন্যান্য)=১,০০০ টাকা
৩)বিদ্যুৎ বিল =৫০০ টাকা
৪)লিটার(গাছের গুড়ি,ধানের তুষ) =৩০০ টাকা
৫)কর্মচারী বেতন- =৫,০০০ টাকা
৬) অন্যান্য =৪০০ টাকা
(কর্মচারীর বেতন ১০,০০০ টাকা কিন্তু একজন লোক কমপক্ষে ২০০০ পিস কোয়েল দেখাশুনা করতে পারে।তাই ১০০০ কোয়েলের হিসাবের জন্য বেতন ৫,০০০ টাকা ধরা হয়েছে)
মোট খরচ=৩১,২০০ টাকা
- ১০০০ কোয়েল থেকেমাসিক আয়ঃ
দৈনিক ডিম পাওয়া যাবে= ৭৫০ টি
প্রতিটি ১.৭ টাকা গড়ে
দৈনিক আয়=৭৫০x১.৭=১,২৭৫ টাকা
তাহলে,মাসিক আয়=১,২৭৫x৩০=৩৮,২৫০ টাকা
- ১০০০ কোয়েল থেকে মাসিকলাভঃ
মোট আয় = ৩৮,২৫০ টাকা
মোট খরচ =৩১,২০০ টাকা
**মাসিক লাভ = ৩৮২৫০ -৩১,২০০ টাকা
= ৭,০৫০টাকা
এখন যদি আপনি কর্মচারী না রেখে নিজে একটা কষ্ট করে খামারের দেখাশুনা করেন তবে বেচে যাবে আরো ৫০০০ টাকা।
**তাহলে লাভ হবে =৭,০৫০+৫,০০০=১২,০৫০টাকা।
আর ডিমের দাম যদি ২ টাকা পিস হয় তবে আরো অতিরিক্ত লাভ হবে ৬,৭৫০ টাকা।
তাহলে টোটাল লাভ হবে=১২,০৫০+৬,৭৫০=১৮,৮০০ টাকা।
এভাবে আপনি ২০০০ কোয়েল পালন করলে আপনি মাসে আয় করতে পারবেন ৩০ হাজারের বেশি টাকা।
(লাভের পরিমান সময়ের সাথে বাজার দরের উপরে নির্ভর করবে।এখানে শুধু আনুমানিক হিসাব দেখানো হয়েছে।)
বিঃদ্রঃ ঢাকার পাইকারি বাজারেগরমের সময় প্রতি শত ডিমের দাম১২০-১৪০ টাকা ও হতে পারে।তাইআপনাকে নিজের স্থানীয় বাজারেডিম বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।তা নাহলে লাভ থাকবে না। লস হবারসম্ভাবনা থাকবে।
তাই নিজের এলাকার চাহিদাঅনুযায়ী উৎপাদন করুন। কিন্তুশীতের সময় আবার ঢাকারপাইকারি বাজারেই ডিমের দাম ২টাকা পর্যন্ত হয়।তাই শীতের বাজারধরার জন্য শীতের ২ মাস আগেইপাখি খামারের তুলতে পারেন যদিআপনি সিজনাল ভাবে ব্যবসা করতেচান।
No comments:
Post a Comment