Monday, January 21, 2019

হাঁস পালন

০-২ সপ্তাহ আধা ইঞ্চি বাচ্চা প্রতি।
২-৪ সপ্তাহ ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ৩ ভাগ বাচ্চা প্রতি।
৪-৭ সপ্তাহ দেড় ইঞ্চি বাচ্চা প্রতি।
হাঁসের সুষম খাবারের তালিকা
ঠিক সময়ে ডিম পাওয়ার জন্য ক্যাম্পবেল হাঁসের সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। খামারকারী নিজেও এই সুষম খাদ্য নিজে তৈরি করে নিতে পারে। এতে দামে যেমন সস্তা হয়, এবং নিজেও প্রচন্ড বল পেতে পারেন যে তিনি তাঁর হাঁসকে ভাল খাবার খাইয়াছেন।
সুষম খাদ্য তৈরির নিয়ম নিচে দেয়া হলো-
প্রতি ১০০ ভাগ খাবারের মধ্যে-
গম – ৩০ ভাগ;
ধান ভাঙ্গা – ৪০ ভাগ;
কালো তিল খোল – ১০ ভাগ;
সয়াবিন খোল – ১০ ভাগ;
শুঁটকি মাছের গুঁড়ো – ৮ ভাগ;
ঝিনুক ভাঙ্গা – ২ ভাগ।
ভিটামিন এ, বি২, ডি৩, ই, কে প্রতি ১০০ কেজি খাবারের ১০ গ্রাম মেশাতে হবে।এবং প্রতি কু্যইন্টাল হিসেবে কোলিন ক্লোরাইড দিতে হবে ৫০ গ্রাম। হাঁস ৬_৮ সপ্তাহ হলে গমের পরিমান কমিয়ে ছত্রাক মুক্ত মেশানো যেতে পারে। কোলিন ক্লোরাইড যেমন দিতে হবে বৃদ্ধির জন্য তেমনি ককসিডিয়া রোড় বন্ধ করার জন্য দিতে হবে ককসিডিওস্ট্যাট।
ককসিডিওস্ট্যাট দিতে হবে হাঁসের ১২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত। মেশাবার হার প্রতি ১০০ কেজি খাবারের জন্য ৫০ গ্রাম। হাঁসকে গুগলি দিলে শুঁটকি মাছের পারিমান কমিয়ে দিতে হবে। এতে খাবারের দাম ও কমে যাবে।
মাংস  ডিম বিপণন
হাঁসের ডিম বিক্রির জন্য খুব একটা কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না।কারন, হাঁসের ডিমের বাজার অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে।
তবে মাংস বিক্রির জন্য উদ্যেগ নিতে হবে। ডিম কীভাবে বাজারজাত করা যাবে এই সম্পর্কে ইতি পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে।
খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসের রোগ-ব্যাধি ও তার প্রতিকার
এই জাতের হাসের খুব একটা রোগ-ব্যাধি হয় না। তবে একেবারেই যে রোগ-ব্যাধিতে হাঁস আক্রান্ত হয় না। সেটা বলা ভূল। এই রোগ-ব্যাধি নির্ভর করে খামারকারীর পরিচর্যার ওপর।
যদি খামারী স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাঁস পালন করেন এবং উপযোগী খাবার খাওয়ান তাহলে এই রোগ-ব্যাধির পরিমান একেবারেই থাকবেনা।
তবে খামারকারীকে হাঁসের মারাত্নক দুটি রোগ ডাক-প্লেগ ও ডাক-কলেরার ব্যাপারে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। দুটি টিকার জন্যই খামারকারী খোঁজ নিতে পারেন নিকটস্থ পশু চিকিৎসা কেন্দ্র। তারা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও পেতে পারেন।
কেস স্টাডি:
হাঁস পালনে নিজেকে বদলে দিয়েছেন জাহানারা বেগম

কারও দয়াদাক্ষিণ্যে নয়, কষ্টার্জিত আয়ের দ্বারা সুখের সংসার পরিচালনা করে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জের সফল গৃহবধূ জাহানারা বেগম। স্বামীর অসচ্ছলতা আর সংসারের টানাপোড়েনে জাহানারা তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেন। শপথ নেন নিজে একটা কিছু করার। যোগ দেন এনজিও সংস্থা ভার্ডের সমিতিতে। সমিতির সদস্য হিসেবে নিয়মিত জমা দেন সঞ্চয়ের টাকা। ২০০৫ সালে এনজিও সংস্থা ভার্ড সংগঠনভুক্ত দুস্থ মহিলাদের বন্যাউত্তর পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি পরিবারকে ভিটেবাড়ি নির্মাণের জন্য ৪০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করে। জাহানারা অনুদানের অর্থ ও জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ১০ হাজার টাকা ক্ষুদ্রঋণ এবং তার পালিত কিছু হাঁস, মোরগ, গরু ও ছাগল বিক্রির টাকা দিয়ে তৈরি করেন বসতবাড়ি। অন্য একটি সমিতিতে নিয়মিত সঞ্চয়ী টাকা জমা দিয়ে পাড়ামহল্লায় টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিনসহ স্যানিটেশন সুবিধা গ্রহণ করেন। সমিতিতে সঞ্চয়ের পাশাপাশি শুরু করেন হাঁস পালন। হাঁসের ডিম বিক্রি করেই মেয়ে মাফরোজা সিদ্দিকা বুশরা ও ছেলে মাহবুব আল মুবাশ্বিরের লেখাপড়ার যাবতীয় খরচসহ সংসারের খরচ জোগান দেন।
বর্তমানে জাহানারার রয়েছে ৪টি রাজহাঁস, ৩০টি পাতিহাস, একটি গাভী, ছয়টি মোরগ। ন্যূনতম পুঁথিগত বিদ্যা থাকলেও কঠোর পরিশ্রমী এই নারী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের সদস্য হয়ে নিজেকে বদলে দেয়ার দীক্ষা গ্রহণ করেন। আত্মবিশ্বাসই তাকে কাজে প্রেরণা জুগিয়েছে।
কোনো কিছুর জন্য তাকে কারও কাছে হাত পাততে হয় না। জাতীয় মহিলা সংস্থার ক্ষুদ্র খণের যাবতীয় পাওনা টাকা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তিনি পরিশোধ করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল।

No comments:

Post a Comment

কোয়েল পালন সম্পর্কিতপ্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ  কোয়েল কত দিনে ডিম দেয় ? উত্তরঃ  কোয়েল পাখি সাধারনত ৪৫ দিন বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে । তবে বাস্তবে প্রায় ৫৫ - ৬০ দিন সময় লেগে ...